Home » » ইন্টারনেট এর সুবিধা

ইন্টারনেট এর সুবিধা

ইন্টারনেট এর সুবিধা

ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধা (Advantages of uses Internet): প্রতিনিয়তই ইন্টারনেটের আওতায় কম্পিউটারের সংখ্যা বেড়ে চলছে, বেড়ে চলছে ইন্টারনেটের গুরুতব এবং ব্যবহার। শিক্ষা, গবেষণা, যোগাযোগ, ব্যবসায়-বাণিজ্য ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রেই ইন্টারনেটের গুরুতব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সারা বিশবকে ‘গ্লোবাল ভিলেজ’-এর ধারণায় ধাবিত করছে ইন্টারনেট। ইন্টারনেট হচ্ছে একটি কম্পিউটারনির্ভর নেটওয়ার্কিং সিস্টেম, তাই কম্পিউটারের বহুমুখী ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে ইন্টারনেটের সুযোগ-সুবিধা বা ব্যবহার। নিম্নে ইন্টারনেটের সুযোগ-সুবিধা বা ব্যবহার নিম্নে উল্লেখ করা হলো-


তথ্যের আদান-প্রদান : তথ্যপ্রবাহের এক অবাধ বিরামহীন বিশাল উৎস হচ্ছে ইন্টারনেট। বর্তমানে ইন্টারনেট তথ্যের আদান-প্রদানের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই ইন্টারনেট টেলিফোন, ফ্যাক্সের বিকল্প নিজের স্থান করে নিচ্ছে।


তথ্য আহরণ : পৃথিবীর যেকোনো বিষয়ের ওপর চলতি তথ্যাবলি বর্তমানে ইন্টারনেটে ধারণ করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। কোনো বিষয়ের ওপর তথ্যাবলি আহরণ করতে চাইলে সার্চ ইঞ্জিনের সহায়তা নেওয়া যায়।


ই-মেইল : ই-মেইল আবিষ্কারের পর যোগাযোগব্যবস্থায় যে বৈপস্নবিক পরিবর্তন এসেছে তা আর কোনোটিতে হয়নি। ইলেকট্রনিক উপায়ে বা ইন্টারনেট ব্যবহার করে ডিজিটাল মেসেজ বা বার্তা আদান-প্রদান করাকে ই-মেইল বলা হয়। এ ধরনের পদ্ধতির সাহায্যে যেকোনো ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যেকোনো তথ্য অন্য ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে পাঠাতে পারে। ই-মেইলের মাধ্যমে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের প্রাপকের কাছে ই-মেইল পাঠানো যায়।


ভিডিও কনফারেন্সিং : ভিডিও কনফারেন্সিং হলো এক ধরনের টেলিকনফারেন্সিং, যেখানে ছবি দেখা যায় এবং কথা বলা যায়। যার ফলে অংশগ্রহণকারীরা পরস্পরের সম্মুখীন হয়ে কথোপকথন করতে পারেন। বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ভিডিও কনফারেন্সিং করা যাচ্ছে। আবার বর্তমানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে ইমো বা মেসেঞ্জার। এই ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের উল্লেখযোগ্য ব্যবহার হলো টেলিমেডিসিন সার্ভিস, যেখানে ডাক্তার ও বিভিন্ন জায়গার রোগী পরস্পরের সম্মুখীন হতে পারেন। এতে করে ডাক্তারদের জন্য চিকিৎসাপদ্ধতি সহজ হয় এবং রোগীরা উন্নত চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে পারেন। তাছাড়া অপারেশনের মতো জটিল কাজেও ভিডিও কনফারেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।


সফটওয়্যার : সফটওয়্যার মূলত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির হার্ডওয়্যারকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে। ইন্টারনেট বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় একটি সফটওয়্যার সংগ্রহের মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। ইন্টারনেট থেকে বিনা খরচে অজস্র ইউটিলিটি সফটওয়্যার ডাউনলোড করা যায়।


শিক্ষার ক্ষেত্রে : আজকাল ইন্টারনেট জ্ঞান অর্জনের মহাসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। জীবনের যেকোনো প্রয়োজনীয় শিক্ষামূলক তথ্য ইন্টারনেট থেকে আহরণ করে জ্ঞানার্জন করা যায়। অনলাইনে যে কোনো লাইব্রেরী থেকে কিংবা অনলাইনে অবস্থিত যেকোনো পুস্তক অধ্যয়ন করা যায়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে পড়ে যেকোনো প্রয়োজনীয় কোর্স করা যায়।


অনলাইন মিডিয়া : আজকাল পত্রপত্রিকা কাগজে প্রকাশনার পাশাপাশি অন-লাইনেও প্রকাশ করা হয়। ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সহজেই বিশ্বের খবরাখবর পেয়ে থাকে। তাছাড়া অনলাইনে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল দেখারও সুযোগ রয়েছে।


বিনোদন : বিনোদনের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। আজকাল অনেকেই অনলাইনে রেডিও, টেলিভিশন, সিনেমা, ম্যাগাজিন ইত্যাদি থেকে বিনোদন গ্রহণ করে থাকেন। আর বিভিন্ন রকম ইন্টারনেট মাধ্যম থেকে বিনোদনের স্বাদ গ্রহণ করার অবকাশ রয়েছে।


বাণিজ্যিক : ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ইন্টারনেট একদিকে যেমন ব্যবসায়িক যোগাযোগ বা করসপন্ডেন্সের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, অন্যদিকে পণ্যের বিপণন ও বিজ্ঞাপনের জন্য ওয়েব পেজ বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে।


এছাড়া নিত্যনতুন উদ্ভাবন এবং যুগের চাহিদার সাথে পালস্না দিয়ে দিন দিন ইন্টারনেটের সুযোগ-সুবিধা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। কম্পিউটারের ব্যবহারের বহুমুখিতা যত বৃদ্ধি পাবে, ইন্টারনেটের সুযোগ-সুবিধাও তত বৃদ্ধি পাবে।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *