Home » » মিয়োসিস কাকে বলে

মিয়োসিস কাকে বলে

মিয়োসিস কাকে বলে

মিয়োসিস (Meiosis): ডিপ্লয়েড অথবা পোলিপ্লয়েড কোষে সংঘঠিত বিশেষ এক ধরনের কোষ বিভাজন হলো মিয়োসিস। এ বিভাজন শেষে কোষের ক্রোমোজম সংখ্যা হ্রাসপ্রাপ্ত হয়ে মূল সংখ্যার অর্ধেক হয়ে যায়। এ প্রক্রিয়াকে নিষেকের বিপরীত ঘটনা বলা যায়, কারণ মিয়োসিস বিভাজনে সৃষ্ট নিউক্লিয়াস নিষেকে একীভূত হয়ে জাইগোট গঠন করে এবং ডিপ্লয়েড বা সেকেন্ড অবস্থা পুণঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। অধিকাংশ প্রাণীতে জননকোষ তৈরির অব্যবহিত পূর্বে মিয়োসিস বিভাজন সম্পন্ন হয়। এর ফলে পুরুষ প্রাণীতে শুক্রাণু এবং স্ত্রী প্রাণীতে ডিম্বাণু গঠিত হয়। ক্রোমোজম সংখ্যা দেহকোষের তুলনায় অর্ধেক থাকায় এরা হ্যাপ্লয়েড।

মাইটোসিসের ন্যায় মিয়োসিসও একটি অবিরল ধারাবাহিক ঘটনার অবতারণা হয়। তবে তুলনামূলকভাবে মিয়োসিস অনেকটা জটিল এবং দুটি বিভাজনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ হয়।

প্রথম বিভাজন: বর্ণণার সুবিধার জন্য প্রথম মিয়োটিক বিভাজনকে চারটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। যথা: প্রথম প্রোফেজ, প্রথম মেটাফেজ, প্রথম অ্যানাফেজ এবং প্রথম টেলোফেজ।

প্রথম প্রোফেজ: প্রোফেজের এ পর্যায়টি মোটামুটি দীর্ঘস্থায়ী এবং এ সময়ের ঘটনাবলিকে পাচটি ধারাবাহিক উপপর্যায়ে ভাগ করা হয়। এগুলোর নাম ১) লেপ্টোটিন, ২) জাইগোটিন, ৩) প্যাকিটিন, ৪) ডিপ্লোটিন, ৫) ডায়াকািইনেসিস।


দ্বিতীয় বিভাজন: দ্বিতীয় বিভাজন স্বাভাবিক মাইটোটিক বিভাজনের অনুরূপ। এ সময়ে ক্রোমোসোমগুলো এক্স এবং ওয়াই আকৃতির মতো দেখায় এবং সংখ্যার দিক থেকে অর্ধেক বা হ্যাপ্লয়েড। পরে প্রতিটি নিউক্লিয়াস পুণরায় বিভক্ত হয়ে মোট চারটি হ্যাপ্লয়েড নিউক্লিয়াস গঠন করে। সাইটোকাইনোসিস দ্বারা প্রতিটি অপতা নিউক্লিয়াস পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পূর্ণাঙ্গ কোষে রূপান্তরিত হয়। এভাবে মিয়োসিসের দুটি বিভাজন শেষে একটি ডিপ্লয়েড কোষ থেকে চারটি হ্যাপ্লয়েড কোষের সৃষ্টি হয়। পুরুষ প্রাণীতে চারটি অপত্য কোষ রূপান্তরিত হয় চারটি শুক্রানুতে, অপর দিকে স্ত্রী প্রাণীতে চারটির মধ্যে মাত্র একটি গঠন করে ডিম্বানু, আর অপর তিনটি রূপান্তরিত হয় পোলার বডিতে।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *