Home » » ডিফারেন্স ইঞ্জিন কি

ডিফারেন্স ইঞ্জিন কি

ডিফারেন্স ইঞ্জিন কি

ডিফারেন্স ইঞ্জিন (Difference Engine)

১৭৮৬ সালে জার্মানির মুলার ‘ডিফারেন্স ইঞ্জিন’ নামে পরিচিত একটি ক্যালকুলেটর বা গণনা যন্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করেন। এর প্রায় দুই যুগ পর ১৮১২ সালে ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক চার্লস ব্যাবেজ (Charls Babbage) আরো উন্নত ডিফারেন্স ইঞ্জিন (Difference Engine) বা বিয়োগ ফলভিত্তিক গণনার যন্ত্র উদ্ভাবনের পরিকল্পনা করেন। চার্লস ব্যাবেজ ছিলেন একাধারে গণিতবিদ, দার্শনিক, আবিষ্কারক এবং যন্ত্র প্রকৌশলী। তাঁকে কম্পিউটারের জনক বলা হয়। ১৮১৩ সালে তিনি ডিফারেন্স ইঞ্জিনকে উন্নত করার জন্য রয়েল সোসাইটি থেকে অনুদান পান। কিন্তু সেই সময়ে প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতার কারণে মেশিনটি তৈরিতে বিঘ্ন ঘটে এবং রয়েল সোসাইটি অনুদান বন্ধ করে দেন।


১৮৩৩ সালে ব্যাবেজ ‘অ্যানালাইটিক্যাল ইঞ্জিন’ নামে অপর একটি যন্ত্র তৈরি করার পরিকল্পনা করেন এবং নকশা তৈরি করেন। ব্যাবেজ আধুনিক কম্পিউটারের মতোই তাঁর মেশিনে নিয়ন্ত্রণ অংশ, গাণিতিক অংশ, স্মৃতি অংশ, গ্রহণ মুখ, নির্গমন 

মুখ চিহ্নিত করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী মেশিনটিতে পঞ্চাশ অঙ্ক দৈর্ঘ্যের এক হাজার সংখ্যা সংরক্ষণ ছাড়াও পঞ্চাশ অংক দৈর্ঘ্যের দুটি সংখ্যার যোগ বা বিয়োগের জন্য এক সেকেন্ড এবং গুণের জন্য এক মিনিট সময় লাগার কথা ছিল। এমনকি কার্ডের মাধ্যমে তথ্য ধরে রাখার কথাও চিমত্মা করেছিলেন। কিন্তু সে সময়ে কারিগরি অনগ্রসরতার কারণে এ যন্ত্রের বাস্তব রূপ দিয়ে যেতে পারেনি। তবুও তাঁর চিমত্মা-ভাবনাই পরবর্তীতে কম্পিউটার উন্নয়নে সাহায্যে করে। তাই চালর্স ব্যাবেজকে কম্পিউটারের জনক বলা হয়।


অ্যানালাইটিক্যাল ইঞ্জিনের পরিকল্পনা ও উন্নয়নে ইংরেজ কবি লর্ড বায়রনের কন্যা অগাস্টা এডা বায়রনের (Augusta Ada Byron) অবদান অনস্বীকার্য। এ যন্ত্রে সাধারণ অ্যাসেম্বলি ভাষার মতোই প্রোগ্রাম ব্যবহার করা হতো। এডা লাভল্যাচ অ্যানালাইটিক্যাল ইঞ্জিনের জন্য প্রোগ্রাম রচনা করেন। প্রকৃতপক্ষে এডা লাভল্যাচই (Ada Lavelace) পৃথিবীর সর্বপ্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার। আধুনিক প্রোগ্রামিং ভাষা এডা তাঁর নামানুসারেই রাখা হয়।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *